রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন

প্রবাসিকে বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তালাক দিলেন কোটচাঁপুরের পাখি

মোবাইল ফোনে সর্ম্পকের পর পারিবারিকভাবে বিয়ে এরপর ওই প্রবাসি যুবকের নিকট থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে করেছেন ঘরবাড়ি, সোনার গয়না ও ব্যাংক ব্যালেন্স তার পরে দিছেয়েন তালাক।

স্ত্রীকে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন যুবক, উপায় না পেয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই প্রবাসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (৪৮)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার লতব্দী গ্রামের সদর আলীর ছেলে।স্ত্রী হামিদা খাতুন পাখি কোটচাঁদপুর উপজেলার লীকুন্ডু গ্রামের ওয়াজেদ আলী খানের মেয়ে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় প্রায় ৭ বছর আগে মালায়েশিয়া প্রবাসি মাহবুবুর রহমানের সাথে থাকেন প্রবাসি পাখির বোনের জামাইয়ের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তাদের। এর পর প্রেমের সর্ম্পক তারপর ও পারিবাবিক সম্মতিতে দুজনের বিয়ে হয়।

এর মধ্যে কয়েকবার মাহবুবুর রহমান দেশে আসেন ও সংসার করেন পাখির সাথে। স্বামীর গ্রামের বাড়ি অনেক দুরে এবং স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগে পরকিয়া সর্ম্পকে জড়িয়ে পরেন পাখি, ফলে তাদের সর্ম্পকে ভাটা পড়তে থাকে, এরমধ্যেই হামিদা খাতুন পাখি ডির্ভোস লেটার পাঠিয়েছেন মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে।

তখন তিনি মালায়েশিয়াতে থাকার কারণে ডির্ভোস লেটার রিসিভ করতে পারেননি বলে জানান। মাহবুবুর রহমান অভিযোগে করে জানান পাখির সাথে তার ৭ বছরের সংসার জীবন। এর মধ্যে তিনি শুশুর বাড়িতে থাকার মত কোন ঘর না থাকায় নিজের খরচে একটি পাকা ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় স্ত্রী পাখির নামে ১০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন যা দিয়ে স্ত্রী হামিদা সংসারের খরচ, ঘরের আসবাব পত্র এবং স্বর্ণাংকার তৈরি করেছেন। এখন তিনি হুট করে ১৬ নভেম্বর আমাকে ডিভোর্স দিয়ে আমার অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছেন। আমি ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরে আসি এবং ১৭ ডিসেম্বর কোটচাঁদপুরে এসে পাখির পরিবারের লোকজন এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি এবং ডিভোর্স এর বিষয়ে আমি পাখির কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে কোটচাঁদপুর ছেড়ে চলে যেতে বলেন এবং এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন আর কখনও কোটচাঁদপুর আসলে আমাকে খুন করে লাশ গুম করে দেয়ার হুমকি দেন।

এর পর আমি এলাকার বিভিন্ন গনমান্য ব্যক্তির সাথে কথা বলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে ১৮ ডিসেম্বর আমি কোটচাঁদপুর মডেল থানায় হামিদা খাতুন পাখি, পাখির বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। তারা সবাই আমার পরিশ্রমের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আপনি এখন কি চাচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান হয় পাখি আমার স্ত্রী হিসেবে থাকবেন না হলে আমার দেয়া সকল অর্থ ফেরত দিবেন।

অভিযুক্ত পাখির সাথে কথা বললে তিনি জানান ৭ বছর আগে মাহবুবুর এর সাথে ৫০ হাজার টাকা দেনমহরে আমার বিয়ে হয়। গেল এক বছর যাবত আমার কোন খোজ খবর তিনি রাখেন না, সে কারণে আমি ঝিনাইদহ কোর্টে তাকে তালাক দিয়েছি। স্ত্রী হিসাবে সে আমার ভোরণপোষণ দিয়েছে এর বাইরে আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি।

অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রহিম সাথে কথা বললে তিনি জানান আপোষ মিমাংসার জন্য বিবাদীদেরকে ডাকলে তারা হাজির না হওয়ায় বাদীকে বিচারিক আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সুত্র : মেহেরপুর প্রতিদিন

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved Meherpur Sangbad © 2025